# দেখা যায়নি ফায়ার সার্ভিসকে
সংবাদচর্চা রিপোর্ট :
গত তিনদিন যাবত আগুনে পুড়ছে রূপগঞ্জের কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত গাজী পাইপ কারখানা। আগুন নিভাতে আসেনি ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। একই সাথে কারখানাটিতে লুটপাট অব্যাহত রয়েছে। যেকোন সময় কারখানার ব্রয়লার বিস্ফোরণ হতে পারে। এতে মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে। ছাত্র সমাজ গাজী টায়ার কারখানার লুটপাট নিয়ন্ত্রণ করেছে। এছাড়া গতকালও গাজী পাইপ কারখানা জ্বলতে দেখা গেছে ও লুটপাট অব্যাহত রয়েছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর রূপগঞ্জের খাদুন এলাকায় অবস্থিত গাজী টায়ার ও কণগোপ এলাকায় অবস্থিত গাজী পাইপ কারখানায় অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া একইদিনে সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীর প্রতীকের রূপসীর বাসায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে সন্ত্রাসীরা। গাজী গ্রুপের একজন কর্মকর্তা জানান, কারখানায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটে হাজার হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কারখানার মেশিন ও জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। গতকাল ৮ আগস্ট ও কারখানা জ্বলতে দেখা গেছে। বাতাসের ধোয়ায় প্লাস্টিকের গন্ধ ছড়াচ্ছে।
সেনাবাহিনীর সদস্যরা যখন কারখানায় আসে তখন লুটপাট বন্ধ থাকে। সেনা সদস্যরা চলে গেলে আবার লুটপাট করে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক ফখরুদ্দিন আহমেদ বলেন, রূপসী গাজী টায়ার কারখানায় আমরা আগুন নিভানোর জন্য কাজ করছি। আমাদের লোকবল কম হওয়ায় কর্ণগোপে গাজী পাইপ কারখানায় যেতে পারি নাই। রূপসীর কারখানা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলে পরে কণগোপে যাবো।